সুজন

গর্ব (অক্টোবর ২০১১)

সূর্য
  • ৬৫
  • ৮০
বন্ধুত্ব ব্যপারটাই আলাদা। পৃথিবীর সব সম্পর্ক কোন না কোন দেনা পাওনার হিসেবেই টিকে থাকে। কিন্তু বন্ধুত্ব! সেটা থাকে মনের গভীরে দেনা পাওনার ঊধের্্ব। গল্পকবিতা.কম এর জমজমাট বন্ধু মেলাটা এড়িয়ে যাওয়া আমার কোনকালেই সম্ভব হবেনা। আজও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরছিলাম। এমনিতেই ঢাকার রাস্তাঘাট যানবাহনের পুরো চাপ নেয়ার উপযুক্ত নয়, তার উপর ফ্লাইওভার নির্মান কাজের কারণে রাস্তাগুলো আরো সংকুচিত হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত জ্যাম ঠেলে গাড়ি চেপেই আসা যায়। যাত্রাবাড়ি থেকে পরের রাস্তায় গাড়ি পাব কী পাব না, সেটার কোন নিশ্চয়তা থাকে না। নিন্দুকেরা বলে থাকে, "টাকা দিলে এ দেশে বাঘের চোখও পাওয়া যায়", আমার খুব ইচ্ছে করে সেসব লোকেদের এনে সন্ধায় যাত্রাবাড়ি ছেড়ে দিতে। দেখ্ বাবা টাকা দিয়ে একটা ভাড়া গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারিস কিনা!

প্রায় ঘন্টা খানিক সিএনজি অটোরিঙ্ার ড্রাইভারদের তোয়াজ করে সন্ধা থেকে রাত হয়ে গেছে। সাত পাঁচ না ভেবে হাঁটা শুরু করি আর মনে মনে উন্নয়নের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধারে ব্রত হই। মাইল খানেক ধুলো আর ধোয়ায় হেঁটে আসার পর উল্টো দিকে এগুতে থাকা একটা মডিফাইড যান দেখে ভেতরে ভাল লাগা শিহরণ বয়ে গেল। যদিও সেটা যাত্রাবাড়ি গিয়ে ঘুরে আসবে, তবুও আরো ছ'মাইল হাঁটতে হবেনা সেটাই বড় কথা। দৌড়ে উঠে গেলাম।

গাড়ির আদিরূপ সাকুল্যে নয় যাত্রী ধারন করার মতো মাইক্রোবাসের ছিল। যখন এর চেহারাটা আর যাত্রি আকর্ষণ করে না, তখন শুধু ড্রাইভারের সিটের অংশটা বাদে বাকিটুকু কেটে নতুন ছাচে পুরোনো টেম্পুর আদলে একে যাত্রীবাহি বাহন বানানো হয়। একটা আশ্চর্যের ব্যপার হলো, তখন এতে অনায়াসে ষোলজন যাত্রী নেয়া যায়। এর নামটা তখন হয়ে যায় "লেগুনা"। লেগুনায় আমি সহ পাঁচজন যাত্রী। একজন মাঝ বয়সী মহিলা, মোটামেটি রূপবতী একটা মেয়ে, আর একজন বয়স্ক পুরুষ মানুষ। হঠাৎই আমার ভুল ভাঙ্গে আসলে যাত্রী আমরা চার জন। ৯/১০বছরের যে পিচ্চিটা ঘুমকাতুর চোখে বসে আছে তাকে প্রথমে মহিলার ছেলে বলে ভেবেছিলাম, কিন্তু ও হল এই লেগুনার হেলপার।

লেগুনাটা রাস্তার কোন আইনের তোয়াক্কা না করে যেভাবেই সম্ভব যাত্রাবাড়ির দিকে ছুটছে। বামে অসংখ্য অলস যানগুলোর যাত্রীরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। পিচ্চিটাকে ঘুম থেকে বিরত রাখতে তাকে জিজ্ঞেস করি
-তোমার নাম কী?
নাম জিজ্ঞেস করাতে বেশ বিরক্তই হলো। তবু্ও চোখদুটো ডলে ডলে একরাশ হতাশা নিয়ে বলল
: সুজন।
- ঘুমিয়ে গেলে হাতের টাকাগুলো পড়ে যাবে না?
: প্যাছাল পাইরেন না তো। অভ্যাস আছে। পরব না।
- এদের সবার ভাড়া কাটা হয়েছে?
: এরা যাত্রাবাড়ি নামব না, রানীমহল যাইব। যাত্রাবাড়ির থন যখন ভরপুর প্যাসেঞ্জার লমু হের পরেই ভাড়া কাটুম।

হেঁটে এগিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠার বুদ্ধিটা তাহলে অনেকেই আয়ত্ত করে নিয়েছে! টুকটাক কথাবার্তা আর বিক্ষিপ্ত ভাবনার মাঝেই গাড়ি যাত্রাবাড়ি এসে পৌছায়। হুড়মুর করে লোকজন উঠে পড়ে লেগুনায়। সুজন তখনও সিটে বসে আছে। কারনটা অবশ্য পরে বুঝেছি। ও যদি গেটে দাড়ানো থাকতো নির্ঘাত কারো পায়ের নিচে চাপা পরতো। ভিতরে যাত্রি পূর্ণ হয়ে গেলেও গেটে অন্তত চারজন ঝুলে আছে, অন্যরা একটু ফাক খোজায় ব্যস্ত।

গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। অন্য একটা লেগুনা আসায় ঝুলন্ত দু'জন নেমে যায় সেটায় ওঠার যুদ্ধে লিপ্ত হতে। একটু দুর আসার পর সুজন সিট থেকে উঠে ঝুলন্ত দু'জনের একজনকে বসার ব্যবস্থা করে দেয়। সে লেগুনার হাতল ধরে চোখ বন্ধ করে আছে। আমার মনে হলো তার খুব ঘুম পেয়েছে। তার একটা হাত আমি ধরে রাখলাম যেন পড়ে না যায়। বিড়াল যেমন আদর পেলে আরো ঘনিষ্ট হয় সুজন ও তেমনি আমার দিকে আরো চেপে আসে।


আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। সুন্দর গড়নের চেহারা, সারাদিনের কর্মক্লান্ত শরীরের ঘামে রাস্তার ধুলো জমে চিটচিটে হয়ে আছে। গায়ের জামাটা আন্দাজ করি লাল রংয়ের ছিল, এখন অনেকটা কালচে হয়ে গেছে। এতটুকু বয়সে ওকে লেগুনার হেলপারের মতো ভয়াবহ একটা পেশায় দেখে খুবই কষ্ট হয়। আমার নিজের সন্তানের কথা মনে হয়, যে একই বয়সের, কিন্তু কারো সাথে ভাল করে কথাই বলতে পারে না। আর এই ছেলেটা দিব্যি কত মানুষের সাথে চলছে। আসলে যোগাযোগ মানুষকে অনেক পরিণত করে দেয়।

: আফা ভাড়া দেন। ঐ ভাই ভাড়াডা দেনতো।
=ঐ ব্যাটা এখনও একটু রাস্তা পার হস নাই এহনই ভাড়া চাস্! ব্যাটা ফাজিল। পরে লইস। খেকিয়ে বলে ওঠেন খুব আয়েশ করে পান চিবুতে থাকা এক প্যাসেঞ্জার।

আমার বিপরীত সিটে বসে থাকা মহিলাটা ওর গায়ে একটা খোঁচা দিয়ে বলেন-
ঐ ছেমরা তুই বিয়া করছস! তুই টেকা দিয়া কি করবি?
: হ বিয়া করছি অহন ভাড়া দেন।
=তর পোলা মাইয়া কয়ডা?
সুজন নিশ্চুপ হয়ে যায়। আর একজন বলে ওঠে
-দেখছো ছেড়াডা কত পাকনা! এই বয়সেই বলে বিয়া করছে! ব্যাটা ফাজিল।
মহিলাটা আবারও জিজ্ঞেস করেন
=এই তোর বউয়ের নাম কিরে? (সাথের সুন্দর মেয়েটা খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে)
এত প্যাচাল পাইরেন নাতো ভাড়া দেন। আমি বলে পাকনা! হেরা যে আমারে উল্টা-পাল্টা কতা জিগাইব হেইডার কোন দুষ নাই। হগল দুষ আমার। অনেকটা স্বগতোক্তির মত করে কথাগুলো বলে সুজন।

-এ দেশটা এজন্যই কোন উন্নতি করতে পারে না। এতটুকু বাচ্চারে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। বলেনতো ভাই পৃথিবীর কোন দেশে এমনটা হতে পারে। গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো পরিপাটি পোষাকের এক যুবক বলে যায়।

-ঠিকঐ কইছেন ভাই এ দেশটার এজন্যই উন্নতি হয় না। বছর বছর জন্ম দেওন ছাড়া আর কোন কাম নাই। পোলা মাইয়ার ইনকাম দিয়া খাইয়া পইড়া বেশ ভালই থাকে। পোলাগুলারে বাসে টেম্পোয় কামে লাগায় আর মাইয়াগুলারে গার্মেন্টে লাগাইয়া দেয়। এইডা একটা ব্যবসা। পান চিবুতে থাকা লোকটা বলেন।

-কথাটা মন্দ বলেন নি। আসলে গার্মেন্ট যাওয়া হল নামে, আসল কাজ কিন্ত ঐটা না। দেখবেন খেয়াল করে সকালে বের হয় আর ফিরে সেই রাত্রে। এতক্ষন কী গার্মেন্টেই থাকে? মোটেও না গার্মেন্টে যাওয়ার নামে আসলে করে ই...ইয়ে ব্যবসা। বুঝলেন ভাই! যুবকের উত্তর, তার কথায় গাড়ীর সবাই সায় দেয়।

-বুঝলেন ভাই এইসব ছোটলোক গুলার জন্য মেয়েটারে একলা কলেজে পাঠাতে পারিনা। ঐগুলারেও দেখলে কলেজ পড়ুয়ার মতনই মনে হয়। এইটাই হইল কলি কাল, ভেড়ায় পিন্দে বাঘের খাল। বিপরীত দিকে বসে থাকা মহিলা বললেন।

লোকগুলোর কথা শুনে সুজনের ঘুম ঘুম ভাবটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ওর বুকে অনেক কথা জমে আছে। ইচ্ছে হয় বলতে কিন্ত পারে না। শুধু আহত সাপের মতো ফোস ফোস করতে থাকে।

লেগুনাটা ইতোমধ্যে মাতুয়াইল চলে আসে। যুবকটা নেমে যাবে।
: ভাই ভাড়াডা দেন।
পাঁচ টাকার একটা ময়লা নোট খুজে সুজনের হাতে দেয় যুবকটি।
: ভাড়াতো আট টেকা! আর তিনটেকা দেন।
-ঐ হালারপুত আট টাকা ভাড়াতো রানীমহল পর্যন্ত। আমি কি রানীমহল যামু।

যুবকের কথার স্বরের পরিবর্তনটা আমার কাছে ভালই লাগে। এই কিছুক্ষন আগেও শিশুশ্রম নিয়ে বলল আর এখন এই শিশুটাকে গালি দিতে তার বাঁধলনা। মনে মনে ভাবি যদি হেলপারটা শিশু না হয়ে তার মত তাগড়া জোয়ান হতো? তখন ঠিকই ভাল মানুষের মতো নিজে যেচে আট টাকাই দিতেন।

অসহায় চোখে শুধু চেয়ে দেখা ছাড়া সুজনের আর কোন কিছু করার নেই। একে একে সবাই নেমে যায়। সুযোগ পেয়ে সবাই ভাড়া যতটা পারা যায় কম দিয়েই নামেন। শুধু আমিই যাত্রী হিসাবে বসে আছি। সুজন বার বার সিট প্রতি ভাড়া মেলাবার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যায়।

আমি ডেকে তাকে আমার পাশে বসাই। জিজ্ঞেস করি
-বাসায় আর কে কে আছে?
: আমি আর আমার বড় একটা বইন আছে আমার থেইক্কা দুই বছরের বড়।
-সে কোন কাজ করে না?
: না বইনেরে কোন কাম করতে দেই না। হুনলেন না মানুষগুলা কি যা তা কয়। গার্মেন্টে কাম করলে বলে অরা বেশ্যা অইয়া যায়। তাই বইনডারে কাম করতে দেই না। পত্যেক দিন কত মানুষ ওডে কত কতা কয় নামোনের সময় ঠিকঐ ভাড়া কম দিয়া নামে। আইচ্ছা ভাই কনতো এই গাড়ী রানীমহল যাইব, মাঝপথের যাত্রী ওডে ক্যা? হেই রাস্তার লেইগা গাড়ী আছে না? জামের লেইগা এমনেই টিপ কম অয়। মালিকে কি পাইব? ওস্তাদের বেতন অইব কেমনে, আমি পামু কি? কেউ আমাগ কতা ভাবে? খালি বড় বড় কতা কয়।
- তোমার বাবা-মা নেই?
: হেগোর কতা কইয়েন না। বাপে একটা বিয়া কইরা গেছে গা। আর মায় আমাগ থুইয়া কই গেছে কইতে পারুম না। হেই অমানুষগুলা থাকলেকি আর এগর থাইক্কা ভাল অইত? নাই বালা অইছে থাকলে যদি কারো লগে এমুন করত দাও দিয়া কোপাইয়া মারতাম।
-তোমার লেখাপড়া করতে ইচ্ছে করে না?
একটা বাঁকা হাসি দিয়ে সুজন বলে
: পড়া লেখা কইরা কি অইব। যারা আমারে গাইল পারল এর পড়া লেখা করছে না? এগরে কি মনে ধরে আফনের? হে হে হে সবগুলা অমানুষ। খালি বই পড়লেই মানুষ অওন যায়? আমার কেউ নাই ওস্তাদে আছে আর আমি আমার বইন। আমার বইনডার লাইগা চিন্তা অয়। এই সব ভালা মানুষগুলারে দেইখা এহন আর কেউরে বিশ্বাস করি না।

মনে মনে হিসাব করি আজ সারা দিনে ওর পাঁচটা ট্রিপ হয়েছে প্রতিবারে সিট প্রতি আট টাকা করে হলে মোট আয় দাড়ায় ১২৮০টাকা। মালিককে দিতে হবে ৬০০টাকা ড্রাইভারের বেতন ৩০০টাকা সিএনজি কেনার জন্য ৩০০টাকা। থাকে ৮০টাকা। গড়ে যদি পাঁচ বার যাওয়া আসায় ১০টাকা করেও কম ওঠে তাহলে ড্রাইভারের বেতনই কম পড়ে ২০টাকা। সুজনের বেতনেরতো কথাই নেই।

-আজতো তোমার ভাগে কিছুই পরবে না।
: হেইডাই হিসাব করতাছিলাম। ফাইওভারের কাম না অইলে আরো দুইডা টিপ বেশি অইতো। মালিকেরে ১০০টেকা বাড়াইয়া দিলেও আমগো কিছু থাকতো।
- তাহলে কাল খাবে কী?
: ওস্তাদে কিছু দিব হের বেতন থন।

আমার মস্তিস্ক আর কিছু চিন্তা করতে পারে না। সব কিছু গুলিয়ে আসে। কত সেমিনার কত আয়োজন শিশুশ্রম বন্ধে। এরকম কত কত সুজনরা অসহায় জীবন যাপন করছে আনাচে কানাচে, আমরা এদের জন্য কি করতে পারি? সেমিনার আর সরকার কি কিছু দিতে পারে এদের? চোখ ভরে জল আসে। ১০০টাকার একটা নোট সুজনের হাতে গুজে দেই।

: না লাগব না। আপনেতো আর ডেলি দিতে পারবেন না ভাইজান। আমার ব্যবস্থা আমারঐ করতে অইব। নেন এইডা থুইয়া দেন।
-তুমি এইটা রাখ। ভাববে আজকের সবার আচরণের প্রায়শ্চিত্ত করে গেলাম।

লেগুনাটা আমাকে গন্তব্যে নামিয়ে দিয়ে ছুটে চলে আবার যাত্রাবাড়ির দিকে, যাত্রী শুন্য, আমার আয়ের হিসাব ভুল প্রমানিত করে। খালি গেলেতো আয় আরো ১২৮টাকা কমে যাবে।

তবু্ও ভাল লাগে সুজন গর্ব করে বলতে পারে সে কারো দয়ায় আর ছলে নয়, তার নিজ পরিশ্রমে বেঁচে আছে। একটা কবিতার কথা খুব মনে পড়ছে "সাত কোটি বাঙালীর মুগ্ধ জননী/ জন্ম দিয়েছ শুধু মানুষ করনি.............. আমরা কী সত্যি মানুষ হয়েছি?


[[পেটের তাগিদেই ছুটে চলে গাড়ীটা। ওস্তাদ আর সুজন কী ভাবতে পারে ভুল পথে গেলে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ একটা দূর্ঘটনা। সুজনের মনে হয়তো তার বড় বোনটার অনাহারী মুখ ভাসে। আর ভাবে তার বোনটাকে বেশ্যা হতে দিবে না। তার ওস্তাদেরও হয়ত আছে এমন না বলা কথা। লেগুনাটা আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসে। এখন আর সুজনকে দেখা যাচ্ছে না।]]

(গাড়ীতে কোন গন্তব্যে একবার গিয়ে আবার আগের যায়গায় ফিরে আসাকে এক ট্রিপ ধরা হয়।)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Md. Mostafizur Rahman আমাদের অবস্থা হলো উপরে ফিটফাট ভিতরে সদর ঘাট এর মত . ঘুনে ধরা সমাজের চেহারা সুন্দর ভাবে সামনে নিয়ে এসেছেন সাদামাটা ভাবে. ভালো লেগেছে. বাস্তবতা নিয়ে লেখা গল্প কেন যেন ভালো লেগে পূর্ব থেকেই.
সালেহ মাহমুদ সূর্য, প্রথমেই দেরীতে গল্প পড়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে এত লেখা সব পড়া হয়ে ওঠে না। নিজেরও তো কিছু কাজ আছে নাকি!!! অসম্ভব গতিশীল লেখা আপনার। বিষয়টাও অত্যন্ত মানবিক। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। পছন্দের তালিকায় নিয়ে রাখলাম।
jebon nesa hena ভাল হয়েছে ...................
প্রজ্ঞা মৌসুমী প্রথমে ভেবেছিলাম বন্ধুত্ব নিয়ে হয়ত কিছু লিখবেন। প্রাণবন্ত লেখনী। একটা লেগুনার ভেতরেই পুরো গল্প বসিয়ে দিলেন। সুজনের আত্নসম্মান বোধ ভীষণ মুগ্ধ করলো। যার বাবা-মা দায়িত্ব নেয়নি সে এতটুকু বয়সেই নিজের- বোনের দায়িত্ব নিচ্ছে। যদিও ভাবতে খারাপ লাগে, তবু শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে হয়। গল্পটা শেষ করে ভাবলাম লেখকদের একটা দায়িত্ব থাকে, চেতনা নাড়িয়ে দেয়ার। সেই দায়িত্বটুকু আপনি এত সুন্দরভাবে করেন গল্পের ভেতর দিয়ে। আর বাকিসব মনের কথা রনীল যেন সুন্দর করে বলে দিল। 'বঙ্গমাতা' কবিতার লাইনটা একটু গোলমেলে হলো; সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী/ রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ করনি।"
আদিব নাবিল সুজনের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাই। কোন অর্থে যেন মনে হয় আমিও ছিলাম টোকাই। টোকাই থেকে পদোন্নতি পেয়েই সুজনদের সৃষ্টি হয়। ধুলো-বালি দিয়ে আপনার সৌধ নির্মাণের চেষ্টাকে সালাম জানাই।
খন্দকার নাহিদ হোসেন দিন রাতের মাঝে সন্ধ্যা এমনিতেই অন্যরকম। বিদায় আর শুরুর মুহূর্ত। আর সেই মুহূর্তে এতো আবেগের একটা গল্প পড়তে পেরে বড় ভালো লাগছে। সূর্য ভাই, লিখে হৃদয়ে হাত রাখতে সবাই পারে না...... আমরা কেউ কেউ চেষ্টাও করি...... কিন্তু হয় আর কই? অথচ আপনি কি সহজেই না তা পারেন। আপনার জন্য রইলো সেরাটা।
M.A.HALIM পথে পথে চলতে চলতে অভিজ্ঞতার ফুলঝুড়িতে অতি চমৎকার গল্প। শুভ কামনা বন্ধুর জন্য।
সূর্য @শাওন তোমার ভাবনাটা অমূলক নয়। শব্দটা হয়ত সেটা হলেই ভাল হতো। তবে একটু সংযত লেখার চেষ্টা করি কারণ আগের "অজানায় যাত্রা" গল্পে পাঠক একটু আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে বলেছিল ......... হা হা হা ।
সূর্য @নীলাঞ্জনা নীল ঠিক এমনটাই হা হা হা ধরতে পেরছ বলে ভাল লাগছে। ওটাই ছিল একটু ঘুরানো হয়েছে বৈকি.......... সব পাঠকের কাছে কৃতজ্ঞ।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী